আপনার লবণে আয়োডিন আছে তো ?

 চলুন আগে জেনে নেওয়া যাক আয়োডিন সর্ম্পকে-

আয়োডিন কি- 

আয়োডিন একটি প্রয়োজনীয় খনিজ পুষ্টি উপাদান। এটি গাঢ় বেগুনি বর্ণের কঠিন উদ্বায়ী পদার্থ। 

আয়োডিনের উৎস:

১. খাবার লবণ ২. ছাগলের দুধ ৩.  বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ ৪. সামুদ্রিক উদ্ভিদ

থাইরোক্সিন হরমোন:

আমাদের শরীরে থাইরোক্সিন নামক এক ধরনের হরমন রয়েছে যা তৈরির প্রয়োজনীয় কাঁচামাল হলো এই আয়োডিন। থাইরোক্সিন আমদের -

১। বুদ্ধি ও বিকাশে সাহায্য করে। গবেষকদের গোবেষণায় দেখা গেছে -গর্ভাবস্তায়  শিশুর বয়স যখন ৩ থেকে ৫ মাস তখন যদি গর্ভবর্তী মা যদি আয়োডিন যুক্ত খাবার কম খায় তখন প্রয়োজনীয় থাইরোক্সিন মায়ের শরীরে উৎপন্ন না হওয়ায় কারনে পেটের শিশুও প্রয়োজনীয় থাইরোক্সিন পায় না । তখন ঐ শিশুর বুদ্ধি ও বিকাশে বাধাগস্ত হয়। এর ফলে ঐ শিশুটি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী পর্যন্ত হতে পারে। এমনকি শিশুটি গর্ভে থাকা অবস্থায় মারা যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

২। শরীরের পানি ও ইলেক্ট্রোলাইট অথ্যাৎ(K+, Na এর ভারসাম্য রক্ষা করে। 

৩।আমদের শরীরে যে লোহিত রক্ত কণিকা রয়েছে সেই লোহিত রক্ত কণিকার কোষ গঠনে অবদান রাখে। 

৪। আমাদের শরীর বৃত্তিয় বিপাক যেমন, প্রোটিন,চর্বি এবং কার্বহাইড্রেট (শর্করা) ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে।

আয়েডিনের অভাকে গলগন্ড নামক রোগ হয়।

চলুন দেখা যাক আপনার লবণে আয়োডিন আছে কি-না,

প্রয়োজনীয় উপাদান:

১. লবণ

 

লবণ






২. শর্করার উৎস(ভাত, আলু) বা ভাতের ফেন


 






৩. লেবুর রস







কার্যপ্রণালী:

প্রথমে একটি বাটিতে কিছু পরিমান লবণ নিতে হবে। এরপর কয়েকটা ভাত নিয়ে লবনের সাথে ভালোভাবে মিশাতে হবে। শেষে লেবুর রস উক্ত মিশ্রনের মধ্যে দিলে যদি বেগুনি বর্ণ ধারন করে তাহলে আপনার লবণে আয়োডিন আছে। আর যদি বেগুনি বর্ণ ধারণ না করে তাহলে আপনার লবণে আয়োডিন নেই। বেগুনি বর্ণের পরিমান যত বেশী হবে উক্ত লবণে তত বেশী আয়োডিন রয়েছে।

এভাবে আপনার বাসার লবনে অয়োডিন আছে কি-না তা সহজেই বুঝতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url