অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হওয়ার ১০টি সহজ উপায়
টাকাই হয়ত জীবনের সব কিছু নয় । কিন্তু টাকা ছাড়া জীবন কল্পনা করাই অসম্ভব। জীবনের প্রতিটি ধাপে টাকার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আজকে এমন কিছু ব্যবসার নিয়ে
কথা বলতে যাচ্ছি যার মাধ্যমে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ অল্প পুজিঁতে লাভজনক ব্যবসার মাধ্যমে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে পারবেন। আপনি নিজেও স্বাবলম্বী হবেন আর ১০ জনকেও স্বাবলম্বী বানাতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্র
- কবুতর পালন
- খামার তৈরি
- নার্সারি তৈরি
- বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ
- মুক্তা চাষ
- সেলাইয়ের কাজ
- ফেলে দেওয়া জিনিস থেকে সৌখিন দ্রব্যদী তৈরি
- বাধাই ব্যবসা
- খাবার ডেলিভারির কাজ
- পরিবেশ বান্ধব কলম তৈরি
কবুতর পালন
শান্তির প্রতিক পায়রা। পায়রাকে যেমন সুখ পাখি বলা হয় তেমনি এই পায়রা পালনের মাধ্যমে নিজেকে স্বাবলম্বী করা যায়। ১ জোড়া পায়রার দাম ৪০০-৫০০ টাকার মধ্যে।আর একটা কবুতরের ঘরের দাম ৫০০-১০০০ টাকা। অল্প কিছু টাকা খরচ করে আপনি আপনার সখ ও পূরণ করতে পারবেন আবার এই ছোট ব্যবসা থেকে আপনি লাভবান ও হবেন। বাড়ির ছাদ কিংবা আঙ্গিনায় অল্প জায়গায় আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
খামার তৈরি
বর্তমানে খামারের ব্যবসা খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। খামার মানে একসাথে অনেক হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল থাকবে এমনটি নয়। আপনি আপনার বাজেট অনুযায়ী ১-২টা হাাঁস-মুরগি অথবা ১-২টি গরু-ছাগল দ্বারও শুরু করতে পারেন।মনে রাখবেন সফল হওয়ার জন্য চাই পরিশ্রম আর নির্দিষ্ট লক্ষ্য। ছোট থেকেই একসময় বড় হবেন। হাল ছাড়া যাবে না অল্প বাজেটে দেখবেন এক সময় আপনার কাছে একটা বড় খামার হয়ে যাবে।
নার্সারি তৈরি
গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান। হ্যাঁ ভা্ই এই বার গাছের মাধ্যমে পরিবেশ ও বাঁচবে আর আপনি ও। যত দিন যাচ্ছে মানুষের সৌখিনতা বেড়েই যাচ্ছে। ফুল-ফলের গাছ পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয় অসম্ভব। আপনি আপনার পরে থাকা বাড়ির আঙিনা, বেলকুনি, ছাঁদ এই জায়গা গুলিতে বানিয়ে ফেলতে পারেন ছোট একটা নার্সারি। যেটাতে অল্প কিছু খরচ করে ছোট একটা ব্যবসা দার করতে পারেন।
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ সফলতার এক নয়া দিগন্ত খুলে দিয়েছে। অ্যাকু্রিয়ামে যে মাছগুলো দেখতে পাওয়া যায় তা কিন্তু সমূদ্র থেকে আনা কোন মাছ না। কৃত্রিম ভাবে চাষ করা এক ধরনের গোল্ড ফিস আরও অনেক প্রজাতি।সামন্য একটু পুঁজি আর মাছ চাষ সর্ম্পকে একটু জ্ঞান তাহলেই শুরু করতে পারবেন এই ব্যবসা। এই মাছ বাড়ির আঙ্গিনায় ও ছাঁদে ও করা যায়।
মুক্তা চাষ
মুক্তার মালা নাম শুনেনি এমন খুব কম মানুষি রয়েছে। তাহলে কোথা হতে আসে এই মুক্তা। সমুদ্র , নদী, খাল-বিলে পাওয়া ঝিনুক থেকে। তবে বর্তমানে এই ঝিনুক চাষের মাধ্যমে মুক্তা উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। মুক্তার চাষের মাধ্যমে যেমন দেশের অর্থনীতিতে উন্নতী করা যায় তেমনি বিদেশী মুদ্রা ও অর্জন করা যায়। এই মুক্তা চাষ বাড়ির আঙ্গিনায় -ছাঁদে করা যায়। অল্প কিছু বিনিয়োগে অধিক মুনাফা অর্জন করা যায়।
আরো পড়ুনঃ আউটসোর্সিং জরুরী না জরুরত
সেলাইয়ের কাজ
ঘরে বসেই আপনি একটা সেলাই মেশিনের মাধ্যমে আপনার ছোট একটা ব্যবসা শুরু করতে পারেন। সেলাই কাজের জন্য বিভিন্ন সময় সরকারিভাবে বিভিন্ন ট্রেনিং হয় ট্রেনিং করে নিবেন। অথাবা, আপনার পরিচিতি যিনি এই কাজ জানেন তাকে থেকে শিখে নিবেন। ১টা সেলাই মেশিন ৫০০০-১০০০০ হাজারের মধ্যেই পেয়ে যাবেন। তরপর শুরু করুন আপনার ব্যবসা। দেখবেন আপনি ও একদিন একটা গার্মেন্টস কম্পানির মালিক হবেন।
ফেলে দেওয়া জিনিস থেকে সৌখিন দ্রব্যদী তৈরি
এই ব্যবসাটি একটি পুঁজিহীন ব্যবসার মতো। আমাদের ব্যবহ্রত, অপ্রয়োজনীয় জিনিস যেগুলো আমরা ফেলে দেই।এই ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে ফুঁটিয়ে তুলা যেতে পারে অমূল্য জিনিসপত্র। আমাদের ফেলে দেওয়া জিনিস পত্রের মধ্যে প্লাস্টিকের জিনিসপত্র গুলো অনেক বেশী। এই প্লাস্টিকের বোতল দ্বারা বিভিন্ন ধরনের সো-পিস বানাতে পারেন যার বাজার চাহিদা অনেক বেশী। যত ক্রিয়েটেভিটি জ্ঞান প্রয়োগ হবে তত ইনকাম বাড়বে।
বাধাই ব্যবসা
বাধাঁই ব্যবসায় একটি জনপ্রিয় ব্যবসা। ৫০০০-১০০০০ টাকা দিয়েই শুরু করা যায়। বিভিন্ন মৌসুমি ফসলের সময় ঐ ফসল কিনে বাধাঁই করে, যখন দাম বাড়বে তখন তা বিক্রি করা। এখানে পরিশ্রম কম করে বেশী ইনকাম করা যায়। এর জন্য প্রথমে ব্যবসা শুরু করার পূর্বে বাজার সর্ম্পকে জ্ঞান অর্জন করতে হবে । কোন ফসল কিভাবে সংরক্ষন করতে হয় এবং কোন পন্যর দাম কখন উঠানামা করে। এই জ্ঞানটুকু থাকলে শুরু করা যাবে এই ব্যবসা।
খাবার ডেলিভারির কাজ
১ম, এই পেশাটি বিশেষ করে বেকার ছেলে মেয়েদের জন্য উপযু্ক্ত। যারা পড়াশুনার পাশাপাশি পার টাইম জব করে হাত খরচ ও পরশুনার খরচ চালাতে চায়। তারা বিভিন্ন ধরনের অনলাইন খাবার হোটেলে ফুড ডেলিভারি করে অভাব দূর করতে পারে।
২য়, নিজেই খাবার রান্না করে অনলাইন কিংবা অফলাইনে অর্ডার নিয়ে নিজের ব্যবসাই দাড় করানো। এইটাতে পরিশ্রম একটু বেশী তবে একসময় সফলতা আসবে। ছোট হতেই বড় হতে হবে। কোন কাজই ছোট না। পিছনে অনেকে অনেক কথা বলবে কিন্তু বিপদে কেউ সাহায্য করবে না নিজের পথ নিজেকেই তৈরি করতে হবে। KFC মালিক নিজে রান্না করে নিজে খাবার ডেলিভারি করে তার ব্যবসা শুরু করেছিলেন ।আর আজ KFC একটা ব্যান্ড ।
পরিবেশ বান্ধব কলম তৈরি
এটি একটি ইউনিক আইডিয়া। অল্প পুঁজিতে এই ব্যবসা শুরু করা যায়। পরিবেশ বান্ধব কলম হলো কাগজ দিয়ে তৈরি কলম। প্রয়োজনীয় উপাদান- কলমের শিশ, রঙ্গিন কাগজ, গাম আঠা যা হাতের নাগালের মধ্যেই পাওয়া যায়। কলমের শিশের উপর রঙ্গিন কাগজ জড়িয়ে আঠা দিয়ে আটকিয়ে দিলে তৈরি হয়ে যায় পরিবেশ বান্ধব কলম। প্লাস্টিকের বিকল্প।ইউনিক জিনিস সবাই পছন্দ করে। আপনার ক্রিয়েটিভিটি আপনাকে সফল ব্যবসিক গড়ে তুলবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url