কচুশাক খেলে গলা চুলকায় কেন এর উপকারীত বা কি?
শাক-সবজির তালিকায় সবচেয়ে সহজলভ্য একটি খাবার কচুশাক ।কিন্তু পুষ্টিগুনে যে কোন খাবরকেই হার মানায়।ভিটামিন থেকে শুরু করে লৌহ পর্যন্ত সমস্ত রাসায়নিক উপাদান এই কচুশাকের মধ্যে বিদ্যামান।আবার প্রাপ্যতার দিক থেকে অনেক সহজলভ্য।
আমরা প্রতিদিন বিভন্ন ধরনের শাক-সবজি খেয়ে থাকি। কিন্তু শাক-সবজি সবগুলোই Inorganic ভাবে চাষবাদ করা হয়।আমরা টাটকা শাক-সবজি নামে যেগুলো বাজার হতে কিনে খাই তা বিভিন্নি ধরনের রাসায়নিক সার, কিটনাশক দ্বারা উৎপাদন করা হয়। ফলসরুপ আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।
একমাত্র কচুশাক যাকে আলাদা ভাবে চাষাবাদ করতে হয় না।আর না দিতে হয় কোন সার, কীটনাশক । একদম যেন প্রাকৃতির এক organic দান। আর যদি বলেন পুষ্টিগুন তাহলে বলতে হবে কচুশাকের বিকল্প নেই।
কচুশাকে রয়েছে- ভিটামিন সি, ভিটামিন্ এ, স্যাপোনিনস, টেনিনস, অ্যাান্টি-ইনফ্যামেটরিী,আর একটি মূখ্য উপাদান লৌহ।
১. ভিটামিন- এ যা চোখ ভালো রাখার জন্য একটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন যা কচুশাক থেকে পাওয়া যায়।
২. ভিটামিন-সি যা আমাদের শরীরে এন্টিবায়োটিক তৈরিতে সাহায্য করে অথ্যাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় যা কচুশাকে পাওয়া যায়।
৩. স্যাপোনিনস, টেনিনস উচ্চ রক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করে যা কচুশাকে পাওয়া যায়।
৪. অ্যাান্টি-ইনফ্যামেটরিী শরীরের ব্যাথা বেদনা, প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে যা কচুশাকে পাওয়া যায়।
৫. লৌহ আমাদের শরীরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রক্ত যা পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে বেশীরভাগ রোগ ছড়ায় এই রক্ত হতে। শরীরে কোনো রোগ দেখা দিলে ডাক্তার আগে বলবে রক্ত পরিক্ষা করুন আগে্। আর এই রক্ত বিশুদ্ধ রাখতে যে রাসায়নিক উপাদান বেশী প্রয়োজন তা পাওয়া যায় কচুশাক হতে।
কচু খেলে গলা চুলকানোর কারন:
কচুতে রয়েছে ক্যালসিয়াম অক্সালেট(CaC2O4) নামক রাসায়নিক উপাদান। ক্যালসিয়াম অক্সালেট সুক্ষ জালের মতো হয়ে থাকে।কচুশাক খাবার সময় এই সূক্ষ জালিকা গুলো গোলায় আটকায় যার ফলে গলা চুলকাতে থাকে। কচু গাছের নিচের অংশে এই জালিকা গুলো দেখা যায় ঐ অংশ টুকু কেটে বাদ দিয়ে রান্না করলে গলা আর চুলকাবে না অথবা খাবার পড় একটু তেঁতুল বা টক জাতীয় কিছু খেয়ে নিলে এ সমস্য থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url